https://www.namsaa.in/case-studies/science-city-trip-2025/
Science City Trip 2025 Case Study
URL
Overview
১৯শে ফেব্রুয়ারী ২০২৫
কেমন হলো সায়েন্স সিটি ভ্রমণ ----
প্রায় সাত আট মাস আগের পরিকল্পনা, ঠোক্কর খেতে খেতে আজ প্রথম ধাপ পেড়োনো।
১২০ জন ছাত্র আর হেডস্যার সহ ৭ জন শিক্ষক অক্লান্ত আজ সারাদিন। সবার শেষে বাসে ওঠা, সব লাইনের শেষতম ব্যক্তি, শেষ ছাত্রটিকে অভিভাবকের হাতে ছাড়া ----- আর বলার প্রয়োজন নেই যে হেডস্যারের সতর্ক সস্নেহ দৃষ্টির অভিভাবকত্বে সম্পূর্ণ নিরাপদ আর মসৃণ প্রতিটা মিনিট।
শুরু হতে এক ঘণ্টা দেরী নানা কারণে তাই সময়াভাবে একটা হল পরিদর্শন বাকি পড়ে গেল। ইচ্ছা সত্ত্বেও নতুন তৈরী Climate Gallery ও দর্শন করা যায়নি।
সায়েন্স সিটি কর্তৃপক্ষ সাধারণ সরকারী সংস্থার অনেক ঊর্দ্ধে। সহায়তায়, আব্দার রাখায়, সেই সহৃদয়তার পরিচয় অম্লান।
অবশ্য দিন শুরু হয়েছিল ঘড়ির কাঁটা মিলিয়ে সকালে সরকারী বাস আসার মাধ্যমে। পল্লব পাল আর পার্থ দে সরকার শেষ পর্যন্ত সচেষ্ট ছিল যাতে ভালো বাস পাওয়া যায়। পাওয়া গেল নতুন বাস। ।
মধ্যিখানে লাঞ্চ। ফ্রায়েড রাইস, চিলি চিকেন আর মিষ্টির স্বাদ বাড়িয়ে দিয়েছিল আশিসদার ক্যাটারিং এর পরিচ্ছন্ন আর আন্তরিক পরিবেশন। কেনই বা হবেনা? পিছনে ছিল যে সেক্রেটারী আর ট্রেজারার এর সেই পরিচিত যুগলবন্দী।
এবার নামসা। বাস পৌঁছানোর আগেই সায়েন্স সিটি গেটে অপেক্ষায় ছিলেন প্রিয় সভাপতি। ছিল মিলন দাশগুপ্ত। সকালেই একটি ছেলের সানন্দ ভঙ্গির ছবি পোস্ট করে জানিয়ে দিয়েছিল ও কি চায়। প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেছে ছেলেরা না কি মিলন নিজে, জানা নেই। ছিল বুকে অক্সিজেন সিলিন্ডার বেঁধে সাড়া মাঠ জুড়ে দৌড়ে পাস বাড়ানো গৌতম সরকার থুড়ি , শ্যামল ব্যানার্জী। আর দুজন, সায়ন সাঁধুখা ও আরণ্যক গিরি। অফিস ছুটি নিয়ে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দুই তরুণের উদ্দীপনা তারিফ করার মতো।
তবে কি তৃপ্ত?
আসলে সায়েন্স সিটি ভ্রমণ একটা বড়ো পরিকল্পনার অঙ্গ; অংশ মাত্র। ছেলেদের বারোটি দলে ভাগ করে এক একজন বিজ্ঞানীর নামে দলের নামকরণ করা হয়েছিল। এবার তারা লিখবে ভ্রমণ কাহিনী। পড়বে ঐ সমস্ত বিজ্ঞানীদের কথা, তাদের অবদান। তারপর সংক্ষিপ্ত আকারে সেই কথা লিখবে। তৈরী করবে কমপক্ষে একটি করে সায়েন্স মডেল। তারপর এপ্রিল এর একদিন বন্ধুদের সামনে, শিক্ষক ও নামসা সদস্যদের সামনে তারা বলবে। ঐ যাকে বলে প্রেজেন্টেশন। পুরোটাই হবে গ্রুপ ওয়ার্ক। হবে কম্পিটিশন। প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানের জন্য ট্রফি। থাকবে অল্প কিছু ব্যক্তিগত পুরস্কার এর ব্যবস্থা। সবচেয়ে ভালো দুটি প্রবন্ধ স্থান পাবে নামসা র পরবর্তী স্যুভেনিরে।
এবার শিক্ষকদের নেতৃত্বে ছাত্রদের দায়িত্ব নামসা কে তৃপ্ত করার।
Execution
২১শে জুন ২০২৫ - নামসার উদ্যোগে স্কুলের ছাত্রদের কল্যাণ প্রকল্পের এক নূতন সংযোজনের সমাপ্তি হলো আজ স্কুলের লাইব্রেরী হলে ।
এবছরের ফেব্রুয়ারি মাসে যে ছাত্রদের সায়েন্স সিটি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তাদের ১২ টি গ্রুপে (প্রতি গ্রুপে ১০ জন) ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল বিশিষ্ট বিজানীদের নামে (উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, সত্যেন্দ্রনাথ বোস, অসীমা চট্টোপাধ্যায়, সি ভি রমন, বিক্রম সারাভাই, হোমি ভাবা, জগদীশচন্দ্র বোস, প্রশান্ত মহালনবীশ, প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, আমল রায়চৌধুরী, বিভা চৌধুরী, মেঘনাদ সাহা ) । প্রত্যেকটি গ্রুপ বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন মডেল বানায় এবং তার উপরে লেখনী জমা দেয়, যেমন :
Application of alternative energy , Saving Elephants on rail tracks, Eco friendly speaker to reduce sound pollution, Smart Farming system, ........
আজ ছিল ছাত্রদের সেই সব মডেলের প্রদর্শন , বর্ণনা এবং বিচারকদের প্রশ্নের উত্তর পর্ব ।
এই অনুষ্ঠানে নবম , দশম শ্রেণীর ছাত্ররা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ বহু শিক্ষক ও শিক্ষিকা । আর অবশ্যই নামসার বহু সদস্য ( ডাঃ অরুণাংশু চক্রবর্তী, সূচিব্রত গঙ্গোপাধ্যায়, অরুনাভ রায়চৌধুরী, দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য, .... এবং কিছু তরুণ তুর্কি ) ।
অনুষ্ঠানের সূচনা হয় প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য দিয়ে এবং সমাপ্তির বক্তব্যে স্কুলের শিক্ষক শ্রী দিব্যেন্দু বিকাশ ঘোষ অনুরোধ রাখেন - নামসা যেন প্রতিবছর এই প্রকল্প চালু রাখে।
নামসারই কয়েকজনের উপর (আনন্দ দাশগুপ্ত , মিলন দাশগুপ্ত, শ্যামল ব্যানার্জি, দীপঙ্কর ঘোষ ) দায়িত্ব ছিল মডেলগুলির গুনামানের বিচারে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান নির্ণয় করার । তারা নিম্নলিখিত বিষয়গুলির উপর ভিত্তি করে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন সুবিচার করার :-
বিজ্ঞানের বিষয়, মৌলিক চিন্তা, প্রজেক্ট রিপোর্টের মান, মডেলের প্রদর্শন -কর্মক্ষমতা এবং বক্তার পারদর্শিতা , দলগত সংহতি, প্রশ্ন উত্তর পর্বে ছাত্রদের জ্ঞানের স্বচ্ছতা ...
পুরো অনুষ্ঠানটি ছিল ছাত্রদের উন্মাদানায় ভরপুর । সকলেই উপভোগ করেছেন আকর্ষণীয় মডেল প্রদর্শন এবং প্রশ্নোত্তর পর্ব । সবকিছু মিলিয়ে এক অপূর্ব তৃপ্তিময় অভিজ্ঞতা
Results
১৯শে জুলাই ২০২৫
নিউ আলিপুর মাল্টিপারপাস স্কুল অ্যালামনি অ্যাসোসিয়েশন ( নামসা) আয়োজিত প্রথম ' বিজ্ঞান উৎকর্ষ প্রতিযোগিতা ' র বিচারকদের মূল্যায়নের ভিত্তিতে ফলাফল ----
প্রথম স্থান : বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু দল - গজরাজ ঐরাবত: Saving Elephants on rail tracks
দ্বিতীয় স্থান : বিজ্ঞানী হোমি জাহাঙ্গীর ভাবা দল - Smart Farming system
দুটি দলের অংশগ্রহণকারী ছাত্রদের নাম::
বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু দল---
১) আয়ুষ্মান মিত্র, দশম শ্রেণী-- অধিনায়ক
২) অর্পণ তরফদার, দশম শ্রেণী -- সহ অধিনায়ক
৩) দীপায়ন মিস্ত্রি, দশম শ্রেণী -- সদস্য
৪) খোন্দকার তনবীর আখতার, দশম শ্রেণী-- সদস্য
৫) স্বর্ণদীপ দাস, দশম শ্রেণী -- সদস্য
৬) পাভেল সরকার, দশম শ্রেণী -- সদস্য
৭) প্রীতম হালদার, দশম শ্রেণী -- সদস্য
৮) মেহরাজ আলী মীর, নবম শ্রেণী -- সদস্য
৯) অভ্রজিৎ কোটাল, নবম শ্রেণী -- সদস্য
১০) অনির্বাণ দাস, নবম শ্রেণী -- সদস্য
বিজ্ঞানী হোমি জাহাঙ্গীর ভাবা দল ---
১) দীপ মন্ডল, দশম শ্রেণী -- অধিনায়ক
২) মহঃ সাহিল, দশম শ্রেণী -- সহ অধিনায়ক
৩) আলাপন দাশগুপ্ত, দশম শ্রেণী -- সদস্য
৪) অরূপ দাস, দশম শ্রেণী -- সদস্য
৫) শুভদীপ দাস, নবম শ্রেণী -- সদস্য
৬) রিতম দাশগুপ্ত, নবম শ্রেণী -- সদস্য
৭) দেবসারথী দাস, নবম শ্রেণী -- সদস্য
৮) প্রান্তিক দত্ত, নবম শ্রেণী -- সদস্য
৯) আদিত্য ঘোষ, নবম শ্রেণী -- সদস্য
১০) অভিষেক দাস, নবম শ্রেণী -- সদস্য।